Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Recent Activities

বরিশাল খাদ্য বিভাগীয় উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র নিম্নে বর্ণনা করা হলো :


অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্রহ :  কৃষকদের উৎপাদিত খাদ্যশস্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলার স্বার্থে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরিশাল বিভাগে বোরো/২০২২ মৌসুমে প্রতি কেজি ২৭/- টাকা দরে ৭৩২২ মে.টন ধান ও ৪০/- টাকা দরে ৮৪৩০ মে. টন চাল; আমন/২০২২-২৩ মৌসুমে প্রতি কেজি ২৮/- টাকা দরে ১১০৩ মে.টন ধান ও ৪২/- টাকা দরে ১০৩৪৪ মে. টন চাল এবং চলতি বোরো/২০২৩ মৌসুমে ০৪/০৬/২০২৩ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত প্রতি কেজি ৩০/- টাকা দরে ৪১৯০ মে.টন ধান ও ৪৪/- টাকা দরে ১২০৪০ মে. টন চাল সরকারি গুদামে সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা মোতাবেক চলতি বোরো/২০২৩ মৌসুমে বরিশাল বিভাগে আরও ১২০৪১ মে.টন ধান এবং ১৬৪৬০ মে.টন চাল সংগৃহীত হবে এবং সে আলোকে সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে এবং চাল খাদ্য বিভাগের তালিকাভূক্ত/লাইসেন্সধারী মিল হতে সংগৃহীত হয়ে থাকে। এ যাবৎ সংগৃহীত সর্বমোট ১২৬১৬ মে.টন ধান ও ৩০৮১৪ মে.টন চালের ক্রয় মূল্য বাবদ সরকারের ৩৫.৪৩ + ১৩০.১৪ = ১৬৫.৫৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।


ওএমএস কার্যক্রম : বাজার দর নিয়ন্ত্রণের নিমিত্ত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় বরিশাল বিভাগে জনপ্রতি দৈনিক সর্বোচ্চ ০৫ কেজি করে ২৪/- টাকা কেজি দরে ৬১৯৩ মে.টন আটা এবং ৩০/- টাকা কেজি দরে ৩২৬৯৬ মে.টন চাল বিক্রি করা হয়েছে। অর্থনৈতিক মূল্য অনুযায়ী ওএমএস খাতে উক্ত চাল ও আটা বিক্রিতে সরকার কর্তৃক ৯৩.৭৮ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করতে হয়েছে। ওএমএস কার্যক্রম বরিশাল মহানগর, বরিশাল বিভাগের জেলা ও উপজেলা শহর পর্যায়ে পরিচালিত হয়। ওএমএস কার্যক্রমকে আরও কার্যকরী ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে এ খাতের গ্রাহকদের ডাটাবেজ প্রণয়নের নিমিত্ত পাইলটিং হিসেবে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।    


খাদ্যবান্ধব : স্বল্প আয় তথা হতদরিদ্র জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বরিশাল বিভাগে ৪,৮৬,৮৯৩ টি পরিবারকে প্রত্যেক মাসে ১৫/- টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে ০৫ মাসে সর্বমোট ৬৪,৯৭৬ মে.টন চাল দেয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক মূল্য অনুযায়ী খাদ্যবান্ধব খাতে উক্ত চাল বিক্রিতে সরকার কর্তৃক ২৩৫.৫৩ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করতে হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়ম প্রতিহত করাসহ এ কর্মসূচিকে আরও কার্যকরী করতে খাদ্যবান্ধব সুবিধাভোগীদের ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়ন করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের খাদ্যবান্ধব সুবিধাভোগীদের ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়নে সরকারের ন্যূনতম ০.৭৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।


ত্রাণমূলক খাত (ভিডব্লিউবি, ভিজিএফ, কাবিখা ও টিআর) : বাজারে খাদ্যশস্যের সরবরাহ বৃদ্ধি/বাজার দরের ঊর্ধ্বগতি রোধ, পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়ন, খাদ্য সংকট পরিস্থিতি মোকাবেলার উদ্দেশ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার বরাদ্দ মোতাবেক ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বরিশাল বিভাগে ত্রাণমূলক খাতে (ভিডব্লিউবি, ভিজিএফ, কাবিখা ও টিআর ইত্যাদি) জনসাধারণের মাঝে বিনা মূ্ল্যে সর্বমোট ১,০৬,১৯৫ মে.টন চাল ও ১৪০১৫ মে.টন গম (সর্বমোট ১,২০,২১০ মে.টন) বিতরণ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক মুল্য অনুযায়ী উক্ত কার্যক্রমের জন্য সরকারের ভর্তুকি ব্যয় ৫৯৭.২৯ কোটি টাকা।


খাদ্যশস্যের লাইসেন্স প্রদান ও মজুদ বিরোধী অভিযান পরিচালনা : বেসরকারি পর্যায়ের খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, তাদের নিকট খাদ্যশস্যের মজুদ যথাযথ আছে কিনা সে সম্পর্কে ধারণা রাখা এবং রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় বরিশাল বিভাগের আমদানীকারক, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী, মিলার, ডিলারদের ফুড গ্রেইন লাইসেন্সের আওতায় আনয়ন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সে ধারাবাহিকতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরিশাল বিভাগে মোট ২৮১২ টি (পাইকারী-৩১২, খুচরা-১১১৭, অন্যান্য-১৩৮৩) লাইসেন্স ইস্যু/নবায়ন হয়েছে। তাছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্যের অতিরিক্ত মজুদ রোধকল্পে খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে মজুদ বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।


খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি/অবকাঠোমোগত উন্নয়ন : ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলাধীন হিজলা এলএসডি’র ০২ টি, পিরোজপুর জেলাধীন ভান্ডারিয়া এলএসডি’র ০১ টি এবং ভোলা জেলাধীন বোরহানউদ্দিন এলএসডি’র ০২ টি গুদাম মেরামত করা হয়েছে। তাছাড়া হিজলা এলএসডির ওসিএলএসডি ও টু-ইন দারোয়ান কোয়ার্টার, সীমানা প্রাচীর, রাস্তা, ড্রায়িং ইয়ার্ড, গভীর নলকুপ; বরিশাল সদর এলএসডির পাবলিক টয়লেট, বাবুগঞ্জ এলএসডির ওসিএলএসডি কোয়ার্টার; হলতা এলএসডি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিস ভবন; আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বরিশাল এর অফিস ভবন; বোরহানউদ্দিন এলএসডির ২য় ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর, আরসিসি ড্রেন, এএসআই কোয়ার্টার, গভীর নলকুপ; ব্যাকেংরহাট এলএসডির আরসিসি পিলারসহ মূল গেট; মঠবাড়িয়া এলএসডির ওসিএলএসডি কোয়ার্টার এবং দশমিনা এলএসডির ওসিএলএসডি কোয়ার্টার ও চাতাল মেরামত/পুনঃ নির্মাণ/স্থাপন/রক্ষণাবেক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। যার ফলে উক্ত খাদ্য গুদাম ও অন্যান্য স্থাপানসমূহ ব্যবহার উপযোগী হয়েছে এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উক্ত ০৫ টি গুদাম ও ১৬ টি আনুষিঙ্গিক স্থাপনার মেরামত/পুনঃ নির্মাণ/রক্ষণাবেক্ষণ কাজ বাস্তবায়নে রাজস্ব বাজেটের আওতায় সরকারের সর্বমোট ৫.১১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।       


২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বরিশাল খাদ্য বিভাগ কর্তৃক উপর্যুক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলার পাশাপাশি বাজার মূল্য স্থিতিশীল ও বাজারে খাদ্যশস্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে।